কথা যদি হয় বাঙালির পোশাক ঐতিহ্যের তবে সবার প্রথমে জায়গা পাবে ধুতি পাঞ্জাবি ও শাড়ি। এছাড়া আমরা হয়তো বাঙালির পোশাক ঐতিহ্যের কথা ভাবতেই পারি না,কিন্তু ধীরে ধীরে যুগ বদলেছে এসেছে নতুন সময়। স্বাধীনতার পরবর্তী সময়ে দেশবাসীর কাছে উন্মুক্ত হয়েছে পাশ্চাত্য বিশ্বের নতুন দরজা। ৯০ এর দশক ও তার পরবর্তী সময়ে ক্রমশ তরুণ প্রজন্মের মধ্যে জায়গা তৈরি করে নিয়েছে t-shirt।
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য বাংলাদেশ এবং ভারতের পশ্চিমবঙ্গের একটি গর্বিত ঐতিহ্য। বাংলায় লেখা টি-শার্ট পরে মানুষ তাদের ভাষা এবং সংস্কৃতির প্রতি ভালোবাসা প্রকাশ করে এবং এই টি-শার্টগুলি ব্যক্তির পরিচয় এর একটি অংশ হয়ে ওঠে এটি আমাদের অন্যদের কাছে বাঙালি হিসেবে পরিচিত করে এবং আমাদের বাঙালিয়ানাকেও জাগিয়ে তোলে।
বর্তমান সময়ে Zip Memories কলকাতার অন্যতম শীর্ষস্থানীয় টি শার্ট বিক্রেতা যারা বাঙালির বাঙালিয়ানা কে তাদের নানা রকমের টি-শার্টের মাধ্যমে তুলে ধরেছে সারা বিশ্বের কাছে। যা বর্তমান বাঙালি প্রজন্মের কাছে একটি ফ্যাশন ট্রেন্ডে পরিণত হয়েছে।
বাংলা সাহিত্যের তারানাথ তান্ত্রিক, ফেলুদা,ব্যোমকেশ, পাগলা দাশু, চিনে পটকা তরুণ প্রজন্মের কাছে এক প্রকারের নস্টালজিয়া ও আবেগ। ছোটবেলায় ফেলুদা, ব্যোমকেশ পড়ে নিজেকে গোয়েন্দা মনে করেনি এমন বাঙালি খুঁজে পাওয়া যাবে না।বাঙালি গোয়েন্দাপ্রেমী জাতি। গোয়েন্দাপ্রেম তার এতই প্রবল যে, এক গোয়েন্দায় তাদের সাধ মেটে না। ফেলুদা, কাকাবাবু তো আছেই, তবে বাঙালির কাছে ব্যোমকেশ বক্সীর আবেদন কিছুটা আলাদা। ব্যোমকেশ বাঙালির প্রিয় ঘরোয়া গোয়েন্দা। সহকারী অজিতকে সঙ্গে নিয়ে সত্যান্বেষণের পাশাপাশি স্ত্রী সত্যবতীর সঙ্গে চুটিয়ে সংসারও করে সে। কাজেই সেই চরিত্রের ‘রিলেটেবিলিটি ফ্যাক্টর’ যে বাকি গোয়েন্দাদের থেকে কিছুটা বেশি, তা নতুন করে বলে দিতে হয় ।
‘বন্ধু তোমায় এ গান শোনাবো আমি বিকেল বেলায়’ বিখ্যাত বাংলা ব্যান্ড চন্দ্রবিন্দুর লেখা একটি গান। তারা বারবার তাদের গানের মধ্য দিয়ে তুলে ধরেছে বাঙালিয়ানাকে, বাঙালির রোমান্সকে বাঙালির নিজস্বতাকে। ‘বাউন্ডুলে ঘুড়ি’, ‘বন্ধু চল’, ‘আকাশের ঠিকানায় চিঠি লিখো’ ‘আমার মতে তোর মতন কেউ নেই’ এই গানের লাইনগুলি তাই বাঙালির টি-শার্টে দারুন ভাবে জায়গা করে নিয়েছে? আসলে বাংলায় লেখা টি-শার্ট বাঙ্গালীদের জন্য শুধু একটি পোশাক নয় এটি তাদের পরিচয়, সংস্কৃতি, ভাষা ও আবেগের প্রতীক।
বর্তমানে এই ইদুর দৌড় ও মুঠোফোনের যুগে দাদু দিদাদের সেই গল্প বলার প্রথা এখন আর নেই বললেই চলে এই কারণেই বর্তমানকালের শিশুরা হাদাভোদা , নন্টে ফন্টে, গোপাল ভাঁড়ের মতন চরিত্রগুলো সম্পর্কে খুব একটা ওয়াকিবাহাল হয় না। তাই টি শার্ট এর মধ্যে সেই সমস্ত চরিত্রের ছবি আমাদের কে যেমন মনে করিয়ে দেয় আমাদের ছোটবেলার কথা ঠিক তেমনি কিশোর ও তরুণ প্রজন্মকেও উৎসাহিত করে।
একবিংশ শতকে মানুষজন একই ডিজাইনের টি-শার্ট খুব বেশিদিন পরেন না। কোথাও ঘুরতে যাবেন, তাদের চাই নতুন টি-শার্ট; কোনো প্রোগ্রামে যাবেন, চাই নতুন টি-শার্ট। প্রোগ্রাম কিংবা ভ্রমণের সঙ্গে যায় চট করে এ রকম ডিজাইনের টি-শার্ট বানিয়ে নেন তারা। তো দেখা যায়, মার্কেটপ্লেসে টি-শার্ট ডিজাইনের প্রচুর কাজ রয়েছে। তাই অনলাইন এবং অফলাইন উভয় ক্ষেত্রেই বর্তমান সময়ে অন্যতম চাহিদা পূর্ণ কাজ হলো টি শার্ট ডিজাইন। বাড়িতে বসেও সহজে এই টি শার্ট ডিজাইনিং এর ব্যবসায় নামা যায়। এক্ষেত্রে সাহায্যের জন্য আপনারা চাইলে যোগাযোগ করতে পারেন- www.zipmemories.com.